শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১৮

কোথায় পড়বেন ফার্মেসী?




স্টেথোসকোপ গলায় না ঝুলিয়েও মানুষের সেবা করা যায় নাকি?? অসুস্থ মানুষের সেবা, উন্নয়নের জন্য গবেষনা, সম্মান টাকা। কে না চায় এমন পেশা?? ডাক্তারি ব্যাতীত এই কম্বো কে দিবে?? কি হতে পারে সেটা?? জ্বী হ্যা ফার্মেসীর কথাই বলছি আমি।
উন্নত দেশগুলোতে একজন ফার্মাসিস্ট সম্মান মর্যাদায় কোন অংশেই চিকিৎসকের চেয়ে কম কোন ওষুধ নির্ধারুন করার জন্য ফার্মাসিস্ট দের মতামত নিতে হয়। যদিও বাংলাদেশে চিকিৎসকরাই ওষুধ পেসক্রাইব করে "একের ভেতর দুই" নামক প্যাকেজ তৈরী করে রেখেছেন তবুও প্রথম সারির বিষয়গুলোর মাঝে ফার্মেসী উপরের দিকেই থাকে। দেখা যাক বাংলাদেশে ফার্মেসী বিষয়ে পড়াশোনার আদ্যপান্ত
উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার লক্ষ্যে সর্বপ্রথম ১৯৬৪-১৯৬৫ সালে প্রথম ঢাবি তে ফার্মেসী বিভাগ খোলা হয়। পরবর্তীতে ঔষধশিল্পে ক্রমাগত উন্নতি ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরনের জন্য অন্যান্য ভার্সিটিতে ফার্মেসী খোলা হয়।

বাংলাদেশে ফার্মেসীর উপর দুই ধরনের ডিগ্রী দেওয়া হয়।
) বছরের কোর্স (বি.ফার্ম)
) বছরের কোর্স (ফার্ম. ডি/ প্রফেশনাল)

B.Pharm = Bachelor of Pharmacy
Pharm.D = Doctor of Pharmacy

এখন আসি টাকা পয়সার ব্যাপারে,
দুই হাত ভরে ডলার, ডুপ্লেক্স বাড়ি, ভিনটেজ কার কে না চায়??? ফার্মেসী পড়ে পেশাগত ভাবে মাইগ্রেট হতে পারবেন উন্নত দেশগুলোয়। দেশেও কাজ করার অবারিত সুযোগ রয়েছে।

কোথায় কোথায় কাজ করার সুযোগ আছে:
  • Community pharmacist
  • Hospital pharmacist
  • Research scientist (life sciences)
  • Clinical research associate
  • Higher education lecturer
  • Pharmacologist
  • Product/process development scientist
  • Regulatory affairs officer
  • Science writer
  • Toxicologist


তবে হ্যা, উন্নত দেশগুলোয় ফার্মেসী তে প্রশিক্ষণ নিতে হলে লাইসেন্স লাগে। আর লাইসেন্সের জন্য যদি এপ্লাই করতে চা, তবে সমতূল্য ডিগ্রী চাইবে ওরা। খেয়াল করুন, আমেরিকায় ডি ফার্ম পড়ানো হয়। অর্থাৎ বাংলাদেশের বছর মেয়াদী ফার্মেসী আমেরিকার সমতূল্য বলে ধরা হয়। তো আপনারা যদি আমেরিকায় প্রশিক্ষণ নিয়ে ডলার কামানোর চিন্তা করে থাকেন,  তাহলে এখন থেকেই অনেক বেশি পড়াশোনা করেন।

লাইসেন্স কেনো লাগে:
লাইসেন্স হলো আপনার প্রফেশনালিজম এর প্রমান। অর্থ্যাৎ আপনি অনুরূপ ডিগ্রী নিয়েছেন এবং পেশা বিষয়ক ব্যাপারগুলো সামাল দিতে সক্ষম সরকার হতে অনুমোদন প্রাপ্ত।
বাংলাদেশে কাজ করার জন্য আলাদা লাইসেন্সের দরকার হয় না। তবে উন্নত দেশগুলোতে বাধ্যতামূলক তাহলে ব্যাপার টা কি দাড়ালো?? Pharm.D হলো ডক্টর অফ ফার্মেসী। এটি কিছু দেশে ফার্মেসীর উপর প্রথম প্রফেশনাল ডিগ্রী এবং লাইসেন্স প্রাপ্তি অনুশীলনের জন্য অত্যাবশ্যকীয়।

এতোদিন শুধুমাত্র ঢাবিতেই বছর মেয়াদী ফার্মেসী পড়ানো হতো। সুখবর হচ্ছে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার প্রয়াসে ২০১৫ সেশন হতে যবিপ্রবি নোবিপ্রবিতেও বছর মেয়াদী ফার্মেসী চালু য়েছে। খোলা থাকলো সকল সম্ভাবনার দূয়ার।

এখন ব্যাপার হলো যারা বি.ফার্ম পড়বে তাদের কি হবে??হাতে হারিকেন?? :
আপনাদের জন্য মুশকিল আহসানও আছে। আমেরিকা ছাড়া অন্যান্য উন্নত দেশগুলোয় লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যে পরীক্ষা আছে সেটায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন আপনারা কানাডায় বছর মেয়াদী বি. ফার্ম পড়েই লাইসেন্সের জন্য এপ্লাই করা যায়।

কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যায়ঃ
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ঃ
ঢাবি, জাবি, জবি, চবি, রাবি, খুবি, কুবি

বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়:
যবিপ্রবি, পাবিপ্রবি, নোবিপ্রবি, মাভাবিপ্রবি, বশেমুরবিপ্রবি, শাবিপ্রবি(প্রস্তাবিত)।

প্রাইভেট ভার্সিটিঃ 
একমাত্র NSU তে B.Pharm(প্রফেশনাল) পড়ানো হয়।
এছাড়া ইস্ট ওয়েস্ট, ব্র্যাক, ইউ পি তে বছর এর কোর্স করানো হয় যেগুলো অনেক মানসম্মত।

তাছাড়া আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেখানে কম খরচে ফার্মেসী পড়ানো হয়, যেগুলো ফার্মাসী কাউন্সিল অব বাংলাদেশ এর অনুমোদনপ্রাপ্ত সেই তালিকা আমরা কম খরচে বিশ্ববিদ্যালয় পর্বে রেখেছি। তবে উপরিউক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফার্মেসী বিষয়টি মানসম্মত পাঠদান করানো হয়।





বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

আর্কিটেকচার বা স্থাপত্য অনুষদ




আঁকতে কে না পছন্দ করে। ছোটবেলা থেকে আমরা কম বেশি সবাই আকাঁআকিঁ করেছি। সে আকাআকি থেকে কেউ হয়ত স্বপ্ন দেখে একদিন রঙ্গিন কলমে পুরো শহরটাকে সাজাবে। সে মনের জল্পনা কল্পনা থেকে অনেকে চারুকলা অথবা স্থপতি নিয়ে পড়াশোনা করতে চান। কিন্তু পাবলিক ভার্সিটিতে সুযোগ না পেয়ে অনেকে সিদ্ধান্ত নেন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার কিন্তু কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে নিজের স্বপন পূরণ হবে তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন তাদেরকে সাহায্য করার জন্য আজকে আমার এই পোস্ট। চলুন সবার আগে জেনে নেই কেন আমরা আর্কিটেকচার বা স্থাপত্য নিতে পড়াশোনা করব।


কেন পড়ব আর্কিটেকচার বা স্থাপত্য?
আর্কিটেকচার বা স্থাপত্য হচ্ছে এমন একটি উভয় প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি কোন বিল্ডিং বা অন্য কোন কাঠামোর নকশা তৈরি, পরিকল্পনা গঠন বা বাস্তবায়ন করতে পারেন। অর্থাৎ স্থাপত্য হচ্ছে কোন কাঠামোর নকশা তৈরি এবং সেটার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।


এছাড়া স্থাপত্য মানে হতে পারে:
     ü একটি সাধারণ শব্দ ভবন এবং অন্যান্য শারীরিক কাঠামো বর্ণনা।
     ü নকশা এবং ভবন ডিজাইন শিল্প এবং (কিছু) অ-ভবন কাঠামো।
     ü নকশা এবং ভবন নির্মাণ এবং অন্যান্য শারীরিক কাঠামোর পদ্ধতি শৈলী।
     ü একটি একক বা সুসঙ্গত ফর্ম বা কাঠামো
     ü শিল্প জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, এবং মানবতার।
     ü স্থিতিবিন্যাসের নকশা কার্যকলাপ, ম্যাক্রো স্তরের (শহুরে নকশা, ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেকচার) থেকে মাইক্রো স্তর (নির্মাণ বিবরণ এবং আসবাবপত্র) থেকে। স্থপতির অভ্যাস, যেখানে স্থাপত্য নকশা বা বিল্ডিং পরিবেশের সাথে বিল্ডিং ডিজাইন এবং নির্মাণের সাথে সম্পর্কিত সেবা সরবরাহ বা রেন্ডারিং মানে।

স্থাপত্য পড়ার জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কি কি বিষয় দেখা উচিৎঃ   
স্থাপত্য বা আর্কিটেকচার পড়ার আগে দেখা উচিৎ উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি ইন্সটিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ এর অনুমোদন প্রাপ্ত কিনা। এরপর দেখতে হবে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ল্যাব আছে কি না। আরও কিছু বিষয় দেখতে হবে যেমন কতজন পিএইচডি হোল্ডার এবং কতজন পূর্ণকালীন শিক্ষক রয়েছে।

নিচে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেওয়া হল যেগুলো ইন্সটিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ এর অনুমোদন প্রাপ্ত এবং ভালোমানের শিক্ষা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে।


১.     ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়
আই.এ.বি অনুমোদনপ্রাপ্ত
খরচঃ ১২,৪১,৫০০ + ভর্তি ফি + ডেভেলপমেন্ট ফি
ঠিকানাঃ ৬৬ মহাখালী, ঢাকা-১২১২
ওয়েবসাইটঃ http://www.bracu.ac.bd

২.     নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
আই.এ.বি অনুমোদনপ্রাপ্ত
খরচঃ ১০,৮০,০০০ + ভর্তি ফি
ঠিকানাঃ বসুন্ধরা, বারিধারা, ঢাকা-১২২৯   
ওয়েবসাইটঃ http://www.northsouth.edu

৩.     আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়
আই.এ.বি অনুমোদনপ্রাপ্ত
খরচঃ ১০,৩৭,০০০ + ভর্তি ফি + ডেভেলপমেন্ট ফি
ঠিকানাঃ বাড়ি#৮৩/বি, রোড#৪, কামাল আতার্তুক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ওয়েবসাইটঃ http://www.aiub.edu 

৪.     ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক
আই.এ.বি অনুমোদনপ্রাপ্ত
খরচঃ  + ভর্তি ফি
ঠিকানাঃ ৭৪/এ, গ্রীণ রোড, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫
ওয়েবসাইটঃ http://www.uap-bd.edu

৫.     স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি
আই.এ.বি অনুমোদনপ্রাপ্ত
খরচঃ ৬,৬৫,৮০০
ঠিকানাঃ ৭৪৪, সাত মসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা  
ওয়েবসাইটঃ http://www.stamforduniversity.edu.bd

৬.     স্ট্যাট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
আই.এ.বি অনুমোদনপ্রাপ্ত
খরচঃ ৮,২৩,৫০০
ঠিকানাঃ ৭৭, সাত মসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা
ওয়েবসাইটঃ http://www.sub.edu.bd

৭.     প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি
খরচঃ ৫,৯৮,০০০
ঠিকানাঃ ১/এ, ও.আর নিজাম রোড, প্রাবর্তক সার্কেল, পাঞ্চলিশ, চিটাগাং
ওয়েবসাইটঃ http://puc.ac.bd

৮.     সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি
খরচঃ ৬,৫৯,৬০০  
ঠিকানাঃ ২৫১/এ, তেজগাঁ ইন্ডস্ট্রিয়াল এরিয়া, ঢাকা-১২০৮
ওয়েবসাইটঃ http://www.seu.ac.bd

৯.     শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজী
খরচঃ ৫,৬০,০০০
ঠিকানাঃ বাড়ি#০১, রোড# ১৪, সেক্টর#১৩, উত্তরা, ঢাকা
ওয়েবসাইটঃ http://smuct.edu.bd/

১০.    লিডিং ইউনিভার্সিটি
খরচঃ ৫,২৫,৬০০
ঠিকানাঃ তালতলা রোড, সিলেট
ওয়েবসাইটঃ http://www.lus.ac.bd/

১১.    প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি
খরচঃ ৫,৯৭,৬০০
ঠিকানাঃ স্টার টাওয়ার, গ্রাউন্ড ফ্লোর, ১২ কামাল আতার্তুক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা
ওয়েবসাইটঃ http://www.primeasia.edu.bd

১২.    বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি
খরচঃ ৫,১৭,৮০০
ঠিকানাঃ ৫/বি, বেড়িবাদ মেইন রোড, আদাবর, ঢাকা
ওয়েবসাইটঃ http://www.bu.edu.bd